মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped
Wellcome to National Portal

অর্জন

সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের মৎস্যখাত: অর্জন ও সাফল্য


বাংলাদেশ মৎস্যসম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পুকুর-দিঘি, ডোবা-নালা, নদ-নদী, খাল-বিল ও বাঁওড়। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে রয়েছে বিশাল হাওড় এলাকা, যা আমাদের মৎস্য সম্পদের সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশে ৩ দশমিক ৫ লাখ হেক্টর আয়তনের প্রায় ১৩ লাখ পুকুর-দিঘি রয়েছে। দেশের ২৪ হাজার কি.মি. দীর্ঘ নদ-নদীর আয়তন প্রায় ১০ দশমিক ৩২ লাখ হেক্টর। এ ছাড়া রয়েছে ১ দশমিক ১৪ লাখ হেক্টর জলায়তনের প্রায় ১১ হাজার বিল, ৫ হাজার ৪৮৮ হেক্টর আয়তনের বাঁওড়, ৬৮ হাজার ৮০০ হেক্টর কাপ্তাই হ্রদ, প্রায় ২.০০ লাখ হেক্টর সুন্দরবন খাড়ি অঞ্চল এবং ২৮ দশমিক ৩ লাখ হেক্টরের বিশাল প্লাবনভূমি।


বাংলাদেশে প্রচুর স্বাদু পানির ও লোনা পানির মাছ পাওয়া যায়। এদেশের স্বাদু পানিতে প্রায় ২৬০ প্রজাতির মাছ এবং ২৪ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বর্তমানে আরও ১২ প্রজাতির বিদেশী মাছ বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই চাষ হচ্ছে। পার্বত্য জেলাসমূহে ক্রিকের মাধ্যমেও মাছ উৎপাদনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।


বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদন মূলত আহরণ-নির্ভর। উপকূলব্যাপী ৭১০ কিমি. দীর্ঘ তটরেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ১ দশমিক ৬৬ লাখ বর্গ কিমি. বিস্তৃত বিশাল সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসম্পদে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি এবং ৪৭৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগর থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রল ফিশিং এবং আর্টিসেনাল মৎস্য আহরণের মাধ্যমে মোট ৪ দশমিক ৩৯ লাখ টন মৎস্য আহরণ করা হচ্ছে।


বাংলাদেশের ১৭ কোটি জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি জনগোষ্ঠি তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্যখাতের সাথে জড়িত। অভ্যন্তরীণ মৎস্য সম্পদের মতো সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৎস্যজীবীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযানে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত প্রায় ২ দশমিক ৭০ লাখ মৎস্যজীবীর পরিবারের ন্যূনতম ১৩ দশমিক ৫০ লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে উপকূলীয় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করে মৎস্যচাষকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার শুভ সূচনা করেছিলেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন-‘মাছ হবে এ দেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে মৎস্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে মাছ ও পুষ্টি পাচ্ছে; অন্যদিকে দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হচ্ছে।


বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে এবং দেশের বিশাল মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা এবং মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। মৎস্যজাত উৎস হতে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির স্বপ্নপূরণে মৎস্য ও চিংড়িসহ অন্যান্য জলজসম্পদের স্থায়িত্বশীল উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং অভীষ্ট জনগোষ্ঠীর অংগ্রহণে উন্মুক্ত জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দরিদ্র মৎস্যজীবীমৎস্যচাষি, তথা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সাধনের অভিলক্ষ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করছে মৎস্য অধিদপ্তর।


জাতীয় জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ৩.৫২ শতাংশ এবং মোট কৃষি জিডিপির এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৬.৩৭%) মাছের অবদান, মৎস্যখাতে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি ৬.১০ শতাংশ। মোট রপ্তানি আয়ের ১.৩৯শতাংশ মাছ এবং মৎস্য পণ্যের অবদান (BER, ২০২০)। অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ও ঔষধি গুণসম্পন্ন কুচিয়া রপ্তানি করেই ১৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। ১৯৭১ সাল হতে বিগত ৫০ বছর ব্যবধানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে পাঁচ গুণের বেশি। বিগত ১২ বছরে মৎস্য উৎপাদনের গড় প্রবৃদ্ধি ৪.৮২ শতাংশ। নারী সহ দেশের মোট জনসংখ্যার ১২% এরও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য মৎস্য খাতের আওতাধীন বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত। বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বর্তমানে মাথাপিছু মাছের ব্যবহার ৬০ গ্রাম/দিনের বিপরীতে ৬২.৫৮ গ্রাম/দিনে উন্নীত হয়েছে (BBS, ২০১৬)।


আয়তনে ছোট্ট হয়েও বাংলাদেশ আজ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মৎস্য উৎপাদনকারী দেশগুলির একটি হিসাবে স্বীকৃত। এফএও থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট (দ্যা স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড ফিসারিজ এন্ড এ্যাকোয়াকালচার, ২০২০) অনুয়ায়ী অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় এবং উৎপাদন বৃদ্ধির হারে দ্বিতীয়। বিগত এক দশকে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ১ শতাংশ ধরে রেখেছে। ফলে বিশ্বের মৎস্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তাছাড়া, বিশ্বব্যাপী চাষের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, ইলিশ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম, এবং তেলাপিয়ার উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ এবং এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তৃতীয়। মৎস্য খাতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। ২০১৯-২০ সালে মোট মাছের উৎপাদন ৪৫.০৩ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ২০২০-২১ সালে লক্ষ্যমাত্রা ৪৫.৫২ লক্ষ মেট্রিক টন।


চাষের মাছ উৎপাদনে দেশে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে মাছের উৎপাদন ছিল ২৮ লাখ ৯৯ হাজার টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৩ হাজার টন। ফলে এক দশকে মাছ উৎপাদন বেড়েছে ১৬ লাখ টন বা প্রায় ৫৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে মোট উৎপাদিত মাছের ৫৭.৩৮% আসে চাষের মাছ থেকে, ২৭.৭২% আসে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় হতে এবং ১৪.৯০% সামুদ্রিক খাত হতে।


২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে প্রায় ৪হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩২৪৩.৪১ কোটি টাকা।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সমুদ্রবিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার জলসীমায় আইনগত একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ বা ‘জিআই’ সনদ পেয়ে নিজস্ব পরিচয়ে বিশ্ববাজারে আজ স্বমহিমায় দন্ডায়মান। বিশ্বের শীর্ষ ইলিশ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ইলিশ উৎপাদনে রোল মডেল বাংলাদেশ। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে; বর্তমানে ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ২.৯৮ লক্ষ মে.টন, যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫.৩৩ লক্ষ মে. টনে উন্নীত হয়েছে। ইলিশ সুরক্ষা কর্মসূচির সুফল হিসেবে আরো বেড়েছে সুস্বাদু পাঙ্গাস সহ দেশীয় প্রজাতির নানা মাছ।


সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় জাটকা রক্ষায় ফেব্রুয়ারি হতে মে পর্যন্ত পরিবারপ্রতি মাসিক ৪০ কেজি এবং ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের জন্য পরিবার প্রতি ২০ কেজি হারে চাল প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন গত বছরের ন্যায় এবছরও দেশের ১৪টি জেলার ৬৮টি উপজেলার ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ১ শত ৩৫টি জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে মোট ২৫ হাজার ৬ শত ৯৫ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ (চাল) বিতরণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জাটকা ও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন মোট ৯ লক্ষ ০২ হাজার ৩ শত ৩৮টি জেলে পরিবারকে মোট ৬৬ হাজার ৭ শত ৯১ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।


করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় ৪% মুনাফায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় জুলাই’২০২১ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৪ শত ৩৮ জন মৎস্যচাষিকে ১৫৩.৭২ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প” এর মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৭৭ হাজার ৮ শত ২৬ জন মৎস্যচাষিকে প্রায় ৯৯ কোটি ৭০ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা সরাসরি মোবাইলের মাধ্যমে প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। করোনাকালে অনলাইন বিক্রয় কেন্দ্র, ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রয় কেন্দ্র/গ্রোথ সেন্টারের মাধ্যমে মোট ৮৩০ কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী ইলিশ সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য দরিদ্র জেলেদের সঞ্চয়ী করে তোলা ও আপদকালীন জীবিকা পরিচালনা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের সহায়ক তহবিল গঠনের নিমিত্ত ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার “ইলিশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন তহবিল” গঠন করা হয়েছে।


মৎস্য চাষ প্রযুক্তি ও চিকিৎসা সেবাসহ যেকোন ধরনের সমস্যার জন্য যেকোন মোবাইল হতে ১৬২১৬ নম্বরে মৎস্য কল সেন্টারের মাধ্যমে পরামর্শ সেবা পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া, মৎস্য পরামর্শ, মৎস্যচাষি বার্তা, ডক্টর ফিস, মৎস্যচাষি স্কুল, রুপালী সহ বিভিন্ন এ্যাপসের মাধ্যমে মৎস্য প্রযুক্তি ও পরামর্শ সেবা সহজীকরণ করা হয়েছে।


বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দূরদর্শী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির উন্নয়নে সরকারের গৃহীত স্বপ্ন-প্রেরণা ‘ভিশন ২০২১’ এর অনুকরণে ‘ভিশন ২০৪১’ গৃহীত হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো চরম দারিদ্র্যের অবসান ঘটানো এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ। আমাদের প্রত্যাশা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদা পাবে এবং দারিদ্র্যতা দূর করে একটি উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও দারিদ্রমুক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সমষ্টিগত, একটি অভিযোজিত জাতীয় ব্যবস্থা তৈরিতে সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ইনশাআল্লাহ ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর বিশ্ময়, সত্যিকারের এক উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।